1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
দীঘিনালা ট্রেনিং সেন্টারে নবীন সৈনিকদের শপথগ্রহণ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত - আলোকিত খাগড়াছড়ি

দীঘিনালা ট্রেনিং সেন্টারে নবীন সৈনিকদের শপথগ্রহণ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩
মো. আবদুর রউফ:
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় রিক্রুট ট্রেনিং সেন্টারে সেনাবাহিনীর নবীন সৈনিকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে শপথ গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৮৭১ জন সৈনিক দীর্ঘ ৯ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে ই-বেংগল এবং বীর রেজিমেন্টের বিভিন্ন ইউনিটে নবীন সৈনিক হিসেবে যোগ দিলেন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের দীঘিনালা সেনানিবাসের ফরমেশন এডহক রিক্রুটিং ট্রেনিং সেন্টারের প্যারেড গ্রাউন্ডে এ শপথ গ্রহণ ও  কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক ও চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন। এসময় নবীন সৈনিকরা স্ব-স্ব ধর্মের ধর্মগ্রন্থে হাত রেখে মাতৃভূমির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখন্ডতা রক্ষায় জীবন উৎসর্গ, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ব পালনের শপথ গ্রহণ করেন।
এসময় ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী, খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই ডেট কমান্ডার কর্ণেল এ এস এম বদিউল আলম, খাগড়াছড়ি এএসইউ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস্তেয়াক আহমেদ, ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান প্রশিক্ষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম মাহফুজ মান্নান সুমন, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জিটু-আই মেজর জাহিদ হাসানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হক প্রশিক্ষিত নবীন সেনা সদস্যদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, ‘দেশ ও জাতির প্রয়োজনে কঠিন প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে সেনাবাহিনীতে নিজেদের আলোকিত করার সুযোগ রয়েছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা অক্ষুণ্ণ রাখতে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আদর্শ ও নির্ভীক সৈনিক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস, নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দক্ষ সেনাসদস্য হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলতে হবে। দেশ মাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে পবিত্র দায়িত্ব পালনে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে নবীন সৈনিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
৯ মাসের প্রশিক্ষণে বিভিন্ন  ইভেন্টে সেরা অবস্থানকারী, চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হওয়াদের হাতে ট্রফি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হক। অনুষ্ঠানে প্যারেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত।
এর মধ্যদিয়ে দশম দফায় এ সেন্টার থেকে ৮৭১ জন সৈনিক দীর্ঘ ৯ মাসের মৌলিক ট্রেনিং শেষে পদাতিক ডিভিশনে সৈনিক হিসেবে যোগ দিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ